শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহিলা সমিতি মিলনায়তনে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় আয়োজনটি স্থগিত করা হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী বলেন, ‘নাট্যকর্মীদের মধ্যেই একটি অংশ এই উৎসবের বিরোধিতা করেছিল। তারা দাবি তোলে, জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা হত্যায় উসকানি দেওয়া কিছু ব্যক্তির এই উৎসবে অংশগ্রহণ মেনে নেওয়া যাবে না।’
তিনি জানান, মহিলা সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে এই অংশটি হল বরাদ্দ বাতিলের জন্য চাপ দেয়, এবং শেষ পর্যন্ত হল বরাদ্দ বাতিল করা হয়।
ফারুকী বলেন, ‘দুঃখজনক হলো, উৎসব আয়োজকরা পুলিশের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ ডিএমপি স্পষ্ট জানায়, তারা উৎসব বন্ধের কোনো নির্দেশ দেয়নি, বরং নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত ছিল।’
ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান অবশ্য দাবি করেছিলেন, ‘অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের হুমকি ও নিরাপত্তা শঙ্কার কারণেই উৎসব স্থগিত করা হয়েছে।’
ডিএমপিও এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নাট্যোৎসব স্থগিতের ঘটনায় আমরা অবগত, তবে এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা দিইনি। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সবসময়ই আমাদের সমর্থন রয়েছে।’
ফারুকী তার পোস্টে আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘জুলাইয়ে তাদের ভূমিকার জন্য যারা অভিযুক্ত, তারা কি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছে?’
তিনি মনে করেন, ‘এই নাট্যোৎসব স্থগিতের ঘটনায় আসল কারণ আড়াল করে অন্য একটি ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে।’